এম মনছুর আলম, চকরিয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মশার কয়েল জ্বালানো নিয়ে মারধর করায় স্বামীর সাথে অভিমান করে তছলিমা বেগম (৩৫) নামে দুই সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া দক্ষিণজুম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে থানা পুলিশ তছলিমার মরদেহ উদ্ধার করে। তছলিমা ওই গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার পর পর স্বামীসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে মশার কয়েল জ্বালানো নিয়ে স্বামীর সাথে কথাকাটাকাটি হয় তছলিমার। এক পর্যায়ে স্বামী তছলিমাকে মারধর করেন। পরে রবিবার সকালে বাড়ির অদূরে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায় তছলিমা। এসময় টিউবওয়েলের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরের বিমের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে তছলিমা। পানি নিয়ে ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিত্যক্ত ঘরে তছলিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ওই মহিলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তছলিমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ বছর আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী তৌহিদুল ইসলামের সাথে তছলিমার বিয়ে হয়। গত ৮-১০ আগে দেশে আসেন স্বামী তৌহিদুল। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে।
পাঠকের মতামত: